ডিম দেখতে একই রকম হলেও সব ডিম খাওয়ার উপযোগী নাও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নষ্ট বা দূষিত ডিম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই রান্না বা সেদ্ধ করার আগে ডিমের মান ও সতেজতা যাচাই করা খুবই জরুরি।
ডিম পুষ্টিকর খাদ্য হলেও পচা ডিম খেলে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, কিছু ডিমে নিষিদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান নাইট্রোফিউরান থাকতে পারে, যা দীর্ঘদিন শরীরে গেলে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এজন্য ডিম ব্যবহারের আগে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
ঘরে বসেই ডিম নিরাপদ কিনা বোঝার ৭টি সহজ পরীক্ষা
১. পানিতে ভাসানোর পরীক্ষা (ফ্লোট টেস্ট)
> একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি নিয়ে ডিমটি ধীরে রাখুন।
> ডিম যদি তলায় ডুবে সমানভাবে শুয়ে থাকে, তবে তা একেবারে টাটকা।
> ডুবে দাঁড়িয়ে থাকলে ডিম পুরোনো হলেও ব্যবহারযোগ্য।
> যদি ভেসে ওঠে, তবে ডিম নষ্ট—সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দিন।
২. গন্ধ পরীক্ষা
> ডিম ভেঙে আলাদা পাত্রে নিন ও গন্ধ শুঁকুন।
> টাটকা ডিমে তেমন কোনো গন্ধ থাকে না। পচা ডিমে তীব্র ও বাজে গন্ধ পাওয়া যায়।
৩. খোসা পরীক্ষা
> ব্যবহারের আগে ডিমের খোসা ভালো করে দেখুন।
> খোসায় ফাটল, আঠালো ভাব বা ছত্রাক থাকলে ডিমটি নষ্ট হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
৪. ঝাঁকিয়ে শোনার পরীক্ষা
> ডিমটি কানের কাছে ধরে হালকা ঝাঁকান।
> ভিতরে পানির মতো শব্দ হলে ডিম পুরোনো। টাটকা ডিমে কোনো শব্দ হয় না।
৫. ভাঙার পর অবস্থা দেখুন
> ভালো ডিমে কুসুম শক্ত ও গোলাকার হয় এবং সাদা অংশ ঘন থাকে।
> রঙ অস্বাভাবিক বা গঠন খুব পাতলা ও অদ্ভুত হলে ডিম ব্যবহার না করাই ভালো।
৬. প্যাকেটের তারিখ দেখুন
> দোকানে বিক্রি হওয়া ডিমের কার্টনে সাধারণত মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা থাকে।
> তারিখ দেখে ডিম কিনুন এবং ফ্রিজে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন।
৭. আলোতে পরীক্ষা (ক্যান্ডলিং টেস্ট)
> অন্ধকার ঘরে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট ডিমের ওপর ধরুন।
> টাটকা ডিমে আলো সহজে ভেতরে প্রবেশ করে, আর পুরোনো ডিমের ভেতরটা ম্লান দেখায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সহজ পরীক্ষাগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে নষ্ট বা দূষিত ডিম থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। রান্নার আগে ডিম পরীক্ষা করা ছোট অভ্যাস হলেও খাদ্যনিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।


